আপনি কি জানেন কিভাবে বিরিয়ানি রান্না করতে হয়। বিরিয়ানি পছন্দ করে না এমন খুব কম লোক রয়েছে। কিন্তু অনেকে বিরিয়ানি রান্নার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে বিরিয়ানি তৈরি করতে পারে না। আপনি যদি বিরিয়ানি রান্নার সঠিক নিয়ম জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। বিরিয়ানি রান্নার জন্য অনেক উপকরণ প্রয়োজন হয় যেগুলো না দিলে বিরিয়ানি সুস্বাদু হয় না। তাহলে চলুন ঝটপট জেনে নেওয়া যাক বিরিয়ানি রান্নার নিয়ম।

বিরিয়ানি রেসিপি উপকরণ
উপকরণ: বিরিয়ানি রান্নার উপকরণ সমূহ যেমন, প্রথমে বিরিয়ানির জন্য এক কেজি পোলাও চাল নিতে হবে। এরপর দুই কেজি পরিমাণ গরু বা খাসি বা মুরগির মাংস নিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি দুই কাপ পরিমাণ নিতে হবে। পেয়াজ বাটা এক কাপ পরিমাণ নিতে হবে। বিরিয়ানির জন্য আদা বাটা ,রসুন বাটা, জিরে বাটা ১ টেবিল চামচ নিতে হবে। তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিতে হবে। বিরিয়ানি মসলা, লাল মরিচের গুড়া 2 টেবিল চামচ পরিমাণ দিতে হবে এবং জিরে গুড়া, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ পরিমাণ দিতে হবে । কাঁচা মরিচ ১৫/১৬ টি এবং আলু বোখরা ৪/৫ টি দিতে হবে। বিরিয়ানির জন্য গরুর দুধ এক কাপ নিতে হবে। (পাউডার দুধ হলে পানিতে গুলে নিতে হবে)
মুরগির রোস্ট রান্নার রেসিপি উপকরণ
কাচ্চি বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি উপকরণ
বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি
প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে একটি পাতিলে বিরিয়ানি রান্নার জন্য পরিমাণ মত তেল দিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা দিতে হবে। স্বাদমতো লবণ দিতে হবে। এরপর আদাবাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, বিরিয়ানি মসলা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। এরপর মাংসটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে রান্না করে নিতে হবে। মাংসটা হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
এরপর বিরিয়ানি রান্না করার জন্য অন্য পাতিল নিতে হবে। এবার আবার পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তেলের ভিতরে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা দিতে হবে। বিরিয়ানি রান্না করার জন্য আগে থেকে পোলাও চালটা ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার ধুয়ে রাখা চালটা দিয়ে দিতে হবে। ভালোভাবে চালটাকে ভেজে নিতে হবে তাহলে বিরিয়ানির ঝরঝরে হবে। চালটা ভালোভাবে ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে আগে থেকে রান্না করা মাংসগুলো দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে।
এরপর আগে থেকে গরম করে রাখা পানি পরিমাণ মতো দিতে হবে। এরপর যখন বিরিয়ানির পানি কমে আসবে তখন গরুর জাল করে রাখা দুধ এবং কাঁচা মরিচ ও আলু বোখরা গুলো দিয়ে একদম লো হিটে রান্না করতে হবে। এরপর যখন পানি একেবারে শুকিয়ে যাবে তখন চুলা নিভিয়ে দমে রাখতে হবে। তাহলে বিরিয়ানি খুব সুন্দর ঝরঝরে হবে এবং খেতে খুব সুস্বাদু হবে।
উপসংহার
বন্ধুরা আশা করি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি। আশা করছি এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনারা খুব সহজেই সুস্বাদু তৈরি করতে পারবেন। তো আপনাদের বন্ধুদের কাছে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না যাতে আপনার বন্ধুরা সুস্বাদু রান্না করতে পারে। আসসালামু আলাইকুম